👉আত্মার দেহান্তর -




➡আত্মার দেহান্তর
দেহিনোহস্মিন্ যথা দেহে কৌমারং যৌবনং জরা।
তথা দেহান্তর প্রাপ্তিঃ ধীরস্তত্র ন মুহ্যতি।।
শ্রীমদ্ভগবদগীতা ২/১৩
➡অনুবাদ - দেহীর দেহ যেভাবে কৌমার, যৌবন এবং জরার মাধ্যমে দেহের রুপ পরিবর্তন করে চলে, মৃত্যুকালে তেমনই ঐ দেহী (আত্মা) এক দেহ থেকে অন্য কোনো দেহে দেহান্তরিত হয়। স্থিতপ্রজ্ঞ পণ্ডিতেরা কখনো এই পরিবর্তনে মুহ্যমান হন না।
➡তাৎপর্য - জীবের প্রকৃত স্বরুপ হচ্ছে তাঁর আত্মা, এবং তার যে জড় দেহ, প্রতি মুহূর্তে তার সেই দেহের পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে, কখনো সে শিশু, কখনো কিশোর, কখনো যুবক এবং কখনো বৃদ্ধ। এইভাবে নানা-রুপ ধারণ করছে। কিন্তু জীবের প্রকৃত সত্তা, আত্মার কোনো পরিবর্তন হয় না। একসময় দেহটা যখন অকেজো হয়ে যায়, তখন আত্মা সেই দেহ ত্যাগ করে অন্য দেহ ধারণ করে। মৃত্যুর পর আরেকটি দেহ প্রাপ্ত হওয়াটা যখন অবশ্যম্ভাবী-মৃত্যুর পরেও যখন আত্মার বিনাশ হয় না, এবং সে অবধারিতভাবে, জড় অথবা চিন্ময় আরেকটি দেহ প্রাপ্ত হয়, তখন ভীষ্ম, দ্রোনাচার্য ইত্যাদি আত্মীয় পরিজনের জন্য শোক করা অর্জুনের পক্ষে নিতান্তই নিরর্থক ছিল।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu